লোকেশন
আরও পড়ুনঃ
ধানমন্ডি বুফে রেস্টুরেন্ট তালিকা
গ্যালারির প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস
drik গ্যালারির প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম। ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই গ্যালারি শুরু থেকেই মুক্ত চিন্তা, সৃজনশীলতা, এবং শিল্পের মাধ্যমে সমাজের নানা দিককে তুলে ধরার লক্ষ্যে কাজ করে আসছে। দৃক নামটি সংস্কৃত শব্দ থেকে এসেছে, যার অর্থ 'দৃষ্টি'—এটি যথার্থভাবেই গ্যালারির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে।
দৃক গ্যালারি প্রাথমিকভাবে আলোকচিত্র এবং ভিজ্যুয়াল আর্ট প্রদর্শনীর জন্য পরিচিত হলেও, এখানে আরও নানা ধরনের সাংস্কৃতিক কার্যকলাপ আয়োজন করা হয়, যেমন চিত্রকর্ম, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, এবং মুক্ত আলোচনার আসর।
প্রদর্শনী ও ইভেন্ট
দৃক গ্যালারিতে সারা বছরই নানান শিল্পকর্ম প্রদর্শিত হয়। বিশেষ করে সামাজিক, রাজনৈতিক ও মানবিক বিষয়বস্তুতে তৈরি শিল্পকর্ম এখানে বেশি স্থান পায়। এই গ্যালারিতে স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক শিল্পী ও আলোকচিত্রীদের কাজ প্রদর্শন করার সুযোগ থাকে, যা বাংলাদেশে শিল্পকলা ও আলোকচিত্রকে বিশ্বমানে নিয়ে গেছে।
গ্যালারিতে নিয়মিতভাবে বিশেষ প্রদর্শনী এবং থিমেটিক ইভেন্ট আয়োজন করা হয়। উদাহরণস্বরূপ, স্বাধীনতার গল্প, মানবাধিকারের বিষয়বস্তু, এবং সমসাময়িক সামাজিক সমস্যা নিয়ে এখানে আলোকচিত্র ও ভিজ্যুয়াল আর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরা হয়। এছাড়া, দৃক গ্যালারির একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রদর্শনী হলো 'চব্বিশ ঘণ্টা', যেখানে ২৪ ঘন্টায় সারা পৃথিবী থেকে আলোকচিত্রীরা ছবি তুলে পাঠান এবং সেগুলো প্রদর্শিত হয়।
শিক্ষামূলক কার্যক্রম
শুধু প্রদর্শনী নয়, দৃক গ্যালারি শিল্প ও আলোকচিত্রের শিক্ষা প্রসারে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। এখানে নিয়মিতভাবে ওয়ার্কশপ, সেমিনার এবং প্রশিক্ষণ কোর্স আয়োজন করা হয়, যেখানে নতুন এবং উদীয়মান শিল্পী এবং আলোকচিত্রীদের দক্ষতা বাড়ানোর সুযোগ থাকে। গ্যালারিটি একটি শিক্ষামূলক প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করে, যেখানে তরুণ প্রজন্মের সৃজনশীলতার বিকাশে সহায়তা করা হয়।
সমাজের প্রতি অবদান
দৃক গ্যালারি শিল্পের মাধ্যমে সমাজে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে কাজ করে। এটি কেবল শিল্প বা আলোকচিত্র প্রদর্শনের কেন্দ্র নয়, বরং এটি একটি সামাজিক আন্দোলনের অংশ, যেখানে শিল্পকর্মের মাধ্যমে সামাজিক ও রাজনৈতিক ন্যায়বিচার, মানবাধিকার এবং স্বাধীন মতপ্রকাশের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
দৃক গ্যালারির অনেক প্রদর্শনী সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের গল্প বলে, যা মূলধারার মিডিয়ায় সাধারণত উঠে আসে না। এখানকার শিল্পকর্মগুলো সমাজের নানা দিক, যেমন দারিদ্র্য, লিঙ্গ বৈষম্য, পরিবেশগত সমস্যা, এবং মানবিকতা, নিয়ে গভীরভাবে কথা বলে।
দৃক গ্যালারি পরিদর্শনের সেরা সময়
ড্রিক গ্যালারি সারা বছরই বিভিন্ন প্রদর্শনী এবং ইভেন্ট আয়োজন করে। ভিজ্যুয়াল আর্ট এবং আলোকচিত্রের প্রতি আগ্রহী ব্যক্তিদের জন্য যে কোনো সময় ড্রিক গ্যালারি ভ্রমণ করা উপযুক্ত। তবে, বিশেষ প্রদর্শনীর সময় ভ্রমণ করলে আপনি গ্যালারির অন্যতম সেরা প্রদর্শনী দেখতে পাবেন এবং সেখানে শিল্পীদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগও পাবেন।
0 মন্তব্যসমূহ