বাংলাদেশে জুয়া এবং বাজি ধরা মূলত ১৮৬৭ সালের পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্টের অধীনে অবৈধ। তবে এই আইনে অনলাইন জুয়ার বিষয়ে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, যা অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির ক্ষেত্রে আইনি ফাকি রেখে দিয়েছে। এই ফাকি ব্যবহার করে এই ধরনের বাজি বিশেষ করে ক্রিকেটে এ বৃদ্ধি পেয়েছে, বিশেষ করে মোবাইল এবং অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলির মাধ্যমে।
### অনলাইন জুয়া:
পাবলিক গেম্বলিং অ্যাক্ট ইন্টারনেটের যুগের আগেই প্রণীত হওয়ায়, এতে অনলাইন জুয়ার উল্লেখ নেই, যা আইনের সীমাবদ্ধতা করে দিয়েছে। এই অস্পষ্টতার ফলে অনেক অনলাইন জুয়ার প্ল্যাটফর্ম কোনো সঠিক তদারকি ছাড়াই কাজ করতে শুরু হয়েছে। সবার হাতে ফোন থাকায় এবং সহজে টাকা আয়ের সুযোগ থাকায় অনেকেই এই কাজে জড়িয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুনঃ
সব দোষ কার? সাকিব আল হাসান এর ?
### জুয়া , ক্রিকেট বাজি ও সাকিব আল হাসান:
বিশেষত বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল)-এর মতো জনপ্রিয় ইভেন্টগুলিতে অনলাইন বাজি ২০১২ সাল থেকে উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ফেসবুক এবং ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বিজ্ঞাপনগুলির মাধ্যমে বাজি বাড়ছে, বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার কিশোরদের মধ্যে। কিশোর রা কিছু না বুঝেই বিপুল টাকা বাজি ধরছে, দুর্ভাগ্যবশত হেরে গিয়ে জমি বিক্রি এবং বিশাল আর্থিক ক্ষতির কারণে আত্মহত্যার মতো চরম পরিণতি ঘটছে।
সেলিব্রিটিদের জড়িত হওয়ার ঘটনাও বিষয়টিকে আলোচনায় নিয়ে এসেছে। বাংলাদেশের প্রখ্যাত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান একটি বাজি ধরা ওয়েবসাইটের প্রচার করার জন্য সমালোচনার মুখে পড়েন। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চাপ এবং সিআইডি তদন্তের পরে, সাকিব সেই চুক্তি থেকে সরে আসেন। এছাড়া, তার বোন জান্নাতুল হাসান রিতুর নাম মহাদেব বেটিং অ্যাপ মামলায় একজন বিনিয়োগকারী হিসেবে উঠে আসে, যা বাংলাদেশের জুয়া পরিস্থিতির ওপর আরও নজর কাড়ে।
0 মন্তব্যসমূহ