দিয়াবাড়ি:
উত্তরার উত্তর অংশে অবস্থিত দিয়াবাড়ি একসময় শান্ত এলাকা ছিল, কিন্তু এখন এটি আধুনিক আবাসিক এলাকার রূপ নিয়েছে। এর উন্মুক্ত স্থান, নতুন নির্মিত অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্স এবং নান্দনিক সৌন্দর্য এটি পরিবার এবং প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য একটি উপযুক্ত স্থান করে তুলেছে। দিয়াবাড়ি লেক, এর শান্ত পানির ধারা এবং মনোরম পরিবেশের জন্য পারিবারিক পিকনিক এবং নৌকাবিহারের আদর্শ স্থান।
দিয়াবাড়ির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হলো এর পরিবহন সংযোগ। ঢাকার মেট্রো রেল (এমআরটি লাইন-৬) সম্প্রসারণের ফলে, এখন উত্তরার উত্তর স্টেশন দিয়ে সহজেই এই এলাকা পৌঁছানো যায়। দিয়াবাড়ির আরও অনেক শপিং কমপ্লেক্স, স্থানীয় ব্যবসা এবং সুবিধা গড়ে উঠছে, যা এটিকে বাস এবং ভ্রমণের জন্য আরও আকর্ষণীয় করে তুলেছে।
পরামর্শ:
যদি আপনি শহরের কেন্দ্রের ভিড় থেকে দূরে শান্ত একটি স্থান খুঁজছেন, দিয়াবাড়ি একটি চমৎকার বিকল্প।
আরও পড়ুনঃ
ফুডিজ পন্ড: পানির মাঝে একটি অনন্য ডাইনিং অভিজ্ঞতা
উত্তরা দিয়াবাড়ি বউবাজার ভ্রমণ
বউবাজার
যদি আপনি একটি সত্যিকারের ঢাকার বাজার অভিজ্ঞতা খুঁজে থাকেন, তাহলে বউবাজার হবে আপনার গন্তব্য। এই ব্যস্ত বাজারটি তাজা সবজি, মাছ, মসলা এবং দৈনন্দিন গৃহস্থালির সামগ্রীর জন্য বিখ্যাত। সরু গলির ধারে বিভিন্ন বিক্রেতাদের দোকানগুলোতে ফল থেকে শুরু করে কাপড় পর্যন্ত সবকিছু পাওয়া যায়, যা একটি জীবন্ত বাজারের পরিবেশ তৈরি করে।
বউবাজারের অন্যতম আকর্ষণ হলো এর স্বল্প মূল্য। এখানে দরকষাকষি একটি স্বাভাবিক ব্যাপার এবং আপনি খুব ভালো দামে জিনিসপত্র কিনতে পারবেন। বিশেষ করে সন্ধ্যাবেলায়, যখন স্থানীয় লোকেরা কাজ শেষে কেনাকাটা করতে আসে, তখন বাজারটি খুবই জীবন্ত থাকে। ঢাকার স্থানীয় জীবনের অভিজ্ঞতা নিতে এটি একটি চমৎকার স্থান।
পরামর্শ: ভিড় এড়াতে এবং সেরা কেনাকাটার অভিজ্ঞতা নিতে সকালে বা ব্যস্ত সময়ের বাইরে বউবাজার পরিদর্শন করুন।
আরও পড়ুনঃ
উত্তরার সবচেয়ে কাছে ঘুরার মতো জায়গা || TONGI, TURAG RIVER
উত্তরার পাশ দিয়ে প্রবাহিত তুরাগ নদী শহরের ব্যস্ততা থেকে মুক্তি পেতে একটি শান্ত স্থান সরবরাহ করে। যদিও এটি এখনো প্রধান পর্যটন স্থান হিসাবে গড়ে ওঠেনি, নদীর ধারের এলাকা প্রকৃতি প্রেমীদের জন্য উপযুক্ত। এখানে রয়েছে নদীর ধারের পিকনিক স্পট, স্থানীয় নৌকাবিহার এবং আশুলিয়া ব্রিজ সংলগ্ন এলাকা থেকে মনোরম দৃশ্য।
তুরাগ নদীর পাশ দিয়ে থাকা স্থানীয় চায়ের দোকানগুলোতে বসে চা পান করার পাশাপাশি পরিবেশ উপভোগ করতে পারেন। সূর্যোদয় এবং সূর্যাস্তের সময়ে নদীর উপরে তৈরি হওয়া দৃশ্যগুলো ছবি তোলার জন্য আদর্শ।
পরামর্শ:
উত্তরা সেক্টর ৪
যারা আধুনিক ও স্থানীয় সংস্কৃতির মিশ্রণ পছন্দ করেন, তাদের জন্য উত্তরা সেক্টর ৪ চমৎকার একটি স্থান। রাজলক্ষ্মী কমপ্লেক্স হলো একটি জনপ্রিয় শপিং সেন্টার, যেখানে আপনি কাপড় থেকে ইলেকট্রনিক্স পর্যন্ত সবকিছু খুঁজে পাবেন। যদি আপনি ঐতিহ্যবাহী বাংলাদেশি পোশাকের খোঁজ করেন, এখানে বেশ কিছু স্থানীয় বুটিক এবং ফ্যাব্রিকস রয়েছে।
কিন্তু সেক্টর ৪ শুধু কেনাকাটার জন্যই নয়, এটি খাবার প্রেমীদের জন্যও একটি স্বর্গ। রাস্তার ধারে স্ট্রিট ফুডের দোকানগুলোতে পাওয়া যায় ফুচকা, চটপটি, এবং সমোসার মতো বিভিন্ন স্থানীয় খাবার। ক্ষুধা পেলে এখানে পাওয়া ছোট রেস্তোরাঁ ও ক্যাফেগুলোতেও খাবার উপভোগ করতে পারেন।
পরামর্শ:
যদি আপনি স্ট্রিট ফুডের প্রেমিক হন, সন্ধ্যাবেলা আসুন যখন রাস্তার খাবারের দোকানগুলো ভীড় করে এবং সুস্বাদু খাবারের গন্ধ চারপাশে ছড়িয়ে থাকে।
উত্তরার পার্ক এবং রাস্তার ধারের আড্ডার স্থান
উত্তরায় অনেক পার্করয়েছে, যেখানে আপনি শহরের ব্যস্ততা থেকে কিছুটা বিরতি নিতে পারেন। সেক্টর ১৩-এর লেক সাইড পার্কথেকে শুরু করে সেক্টর ৩, ৭, ১১ এবং ১৪এর পার্কগুলো পরিবার নিয়ে বাইরে সময় কাটানোর জন্য আদর্শ। এই পার্কগুলোতে আপনি প্রকৃতির মাঝে বিশ্রাম নিতে পারবেন, তবুও শহরের কেন্দ্রের কাছাকাছি থাকবেন।
আরও প্রাণবন্ত অভিজ্ঞতার জন্য, রবীন্দ্র সরণি বা সেক্টর ১৩ এর মোড়গুলোতে ভিড় করা রাস্তার ধারের আড্ডার স্থানে যান। এসব স্থানে বিশেষ করে সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোতে শিক্ষার্থী ও তরুণেরা জড়ো হয়। এখানকার রাস্তার ধারের খাবারগুলোও চেখে দেখতে ভুলবেন না, যেখানে গ্রিল করা খাবার থেকে শুরু করে রিফ্রেশিং পানীয়ও পাওয়া যায়।
0 মন্তব্যসমূহ