সাকিব আল হাসান: $৭১ মিলিয়ন সম্পদের মালিক
সাকিব আল হাসান শুধু বাংলাদেশের ক্রিকেটের নায়কই নন, তিনি মাঠ এবং মাঠের বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই একজন আলোচিত মানুষ । বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ অলরাউন্ডার হিসেবে বিবেচিত শাকিব শুধুমাত্র খেলাধুলায় নয়, ব্যবসায়ও নিজের আলাদা অবস্থান তৈরি করেছেন। ২০২৪ সালের হিসেবে তার মোট সম্পদের পরিমাণ প্রায় ৭১ থেকে ৭৫ মিলিয়ন ডলার (প্রায় ৬০০ কোটি টাকা), যা তাকে শুধু ক্রিকেটেই নয়, বাংলাদেশে ধনাঢ্য ক্রীড়াবিদদের অন্যতম হিসেবে চিহ্নিত করেছে
সাকিবের সম্পদের উৎস
সাকিবের আয়ের প্রধান উৎস তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার। ২০০৬ সাল থেকে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করা সাকিব একজন অমূল্য খেলোয়াড় হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তিন ফরম্যাটেই তার অসাধারণ পারফরম্যান্স তাকে আন্তর্জাতিকভাবে বিখ্যাত করেছে। বিশেষ করে ২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে তার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স তাকে আরো বেশি আলোচনায় নিয়ে আসে
জাতীয় দলের পাশাপাশি সাকিব বিশ্বের বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগেও অংশগ্রহণ করেছেন। বিশেষত আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের সাথে তার চুক্তি তাকে প্রচুর অর্থ এনে দেয়, যেখানে ২০২১ সালে তার চুক্তি মূল্য ছিল ৩.২ কোটি রুপি। এছাড়া, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) রংপুর রাইডার্সের সাথে তার ৪০ কোটি টাকার চুক্তি তার আয়ের একটি বড় অংশ জোগায়।
বিজ্ঞাপন ও ব্যবসায়িক উদ্যোগ
সাকিবের জনপ্রিয়তা তাকে বহু লাভজনক বিজ্ঞাপনচুক্তি এনে দিয়েছে। পেপসিকো, অপ্পো এবং গ্রামীণফোনসহ বিভিন্ন বিখ্যাত ব্র্যান্ডের সাথে তার চুক্তি রয়েছে। তার দক্ষতা তাকে শুধু মাঠে নয়, বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেও একজন সফল তারকা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ক্রিকেটের পাশাপাশি সাকিব বিভিন্ন ব্যবসায়ও মনোনিবেশ করেছেন। তার ব্যবসাগুলোর মধ্যে রয়েছে একটি পোশাকের ব্র্যান্ড, একটি রেস্টুরেন্ট, একটি হ্যাচারি, এবং শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ। তার ব্যবসায়িক কৌশলগুলো তাকে একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তুলে ধরেছে।
আরও পড়ুনঃ
সব দোষ কার? সাকিব আল হাসান এর ?
বিনিয়োগ ও সম্পদ
সাকিবের বিনিয়োগের তালিকাও অনেক বিস্তৃত। শেয়ারবাজারে তার ৩৩.১০ কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে, এবং তার গাড়ির সংগ্রহ এবং বিলাসবহুল বাড়িগুলোও উল্লেখযোগ্য। উল্লেখযোগ্যভাবে, তিনি সোনার বার এর মালিক এবং বিভিন্ন দামী ইলেকট্রনিকস ও আসবাবপত্রের মালিক।
সাকিবের উত্তরাধিকার
এখন সাকিব ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বশ্রেষ্ঠ খেলোয়াড় হিসেবে তার স্থান নিশ্চিত করেছেন। শুধু ক্রিকেট নয়, সাকিব একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবেও নিজেকে প্রমাণ করেছেন। মাঠে তার সাফল্য এবং মাঠের বাইরে তার বুদ্ধিমান ব্যবসায়িক পদক্ষেপগুলো তাকে একটি অনুপ্রেরণাদায়ক চরিত্রে পরিণত করেছে।
আজ, সাকিব আল হাসান শুধুমাত্র একটি ক্রিকেট কিংবদন্তি নন, তিনি একজন সফল ব্যক্তিত্বও , যার প্রভাব ক্রিকেটের গণ্ডি পেরিয়ে অন্য দুনিয়াতেও ছড়িয়ে পড়েছে।
0 মন্তব্যসমূহ