অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার (ASPD) হল একটি মানসিক অবস্থা , যা অন্যের অধিকার লঙ্ঘনের লক্ষণ দেখে বোঝা যায়। এই লক্ষণ স্বৈরাচারদের ভেতর দেখা যায় বলে এটিকে স্বৈরাচারদের রোগ বলেও ধরে নেয়া যায়। আসুন এই ASPD সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
অ্যান্টিসোশ্যাল পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার আছে কিনা যা দেখে বুঝতে পারবেনঃ
1. **আইন ও সামাজিক নিয়মের প্রতি অবজ্ঞা**: নিয়ম ও আইন বারবার লঙ্ঘন করা, সামাজিক প্রত্যাশার প্রতি কোনো সম্মান না দেখানো।
2. **প্রতারণামূলক আচরণ**: ক্রমাগত মিথ্যা বলা, ভিন্ন নামে পরিচয় দেওয়া বা ব্যক্তিগত লাভের জন্য অন্যদের প্রতারণা করা।
3. **অসংযম**: ভবিষ্যতের পরিকল্পনা করতে অসুবিধা হওয়া এবং পরিণতি না ভেবে কাজ করা।
4. ** আক্রমণাত্মকত মানসিকতা **: প্রায়শই শারীরিক লড়াই বা হামলা করার প্রবণতা।
5. **নিরাপত্তার প্রতি অযত্ন**: নিজের এবং অন্যের নিরাপত্তার প্রতি দায়িত্বহীন আচরণ।
6. **অনুশোচনার অভাব**: ক্ষতিকারক কাজের জন্য অপরাধবোধ বা অনুশোচনা না থাকা, এমনকি অন্যকে ক্ষতি করলেও।
7. **মানুষকে কাজে লাগানো**: প্রায়ই ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য অন্যদের ব্যবহার করা।
আরও পড়ুন:
যে রোগে ভালবাসা কমে
### ASPD হবার কারণঃ
- **জেনেটিক কারণ**: পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডার বা মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ASPD-এর ঝুঁকি বাড়তে পারে।
- **পরিবেশগত কারণ**: শৈশবে সহিংসতা, নির্যাতন বা অবহেলার সম্মুখীন হলে ASPD বিকাশের সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- **মস্তিষ্কের পার্থক্য**: মস্তিষ্কের কিছু অংশ, যা আবেগ ও আচরণ নিয়ন্ত্রণের জন্য দায়ী, ASPD আক্রান্তদের মধ্যে আলাদাভাবে কাজ করতে
## চিকিৎসা:
- **সাইকোথেরাপি**: কগনিটিভ বিহেভিয়ারাল থেরাপি (CBT) সহায়ক হতে পারে, যদিও ASPD আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত অন্তর্দৃষ্টি বা প্রেরণার অভাবের কারণে থেরাপি চালিয়ে যেতে অসুবিধা বোধ করেন।
- **ঔষধ**: ASPD-এর চিকিৎসার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ নেই, তবে আক্রমণাত্মকতা বা অসংযমের মতো লক্ষণ নিয়ন্ত্রণের জন্য অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট, মুড স্ট্যাবিলাইজার বা অ্যান্টিসাইকোটিক ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে।
- **চিকিৎসার চ্যালেঞ্জ**: ASPD আক্রান্ত ব্যক্তিরা সাধারণত নিজেরা সাহায্য চাইতে আগ্রহী হন না, এবং তাদের সহানুভূতি বা অনুশোচনার অভাব থেরাপির সম্পর্ক তৈরি করতে কঠিন করে তোলে।
0 মন্তব্যসমূহ